🅠 'বাংলা জ্বলছে!' আর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় 'মুখে কুলুপ এঁটেছেন'! সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের নানা অংশে যেভাবে হিংসার ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে এবার এভাবেই সরাসরি দিদিকে আক্রমণ করলেন যোগী।
𝓀একইসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কীভাবে সেইসব ব্যক্তিকে শায়েস্তা করতে হবে, যারা বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাওয়াই হল - 'যারা হিংসা ছড়াচ্ছে', তাদের ঠান্ডা করার একমাত্র উপায় হল 'ডান্ডা'!
✤হরদইয়ে আয়োজিত একটি জমায়েতে বক্তব্য রাখছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগে, যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি, তখন উত্তরপ্রদেশেও দু-তিনদিন পরপরই হিংসা ছড়াত।
🐟এরপরই তিনি বলেন, 'দাঙ্গাবাজদের একমাত্র দাওয়াই হল ডান্ডা। আপনারা দেখছেন তো, বাংলা জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। তিনি দাঙ্গাবাজদেরই শান্তির দূত বলে অবিহিত করেন!'
ꦓএই প্রসঙ্গে হিন্দিতে একটি প্রবাদও বলতে শোনা যায় যোগীকে। তিনি বলেন, 'লাথো কে ভূত বাতো সে কাঁহা মাননে ওয়ালে হ্যায়?' যার অর্থ হল - লাথি খাওয়াই যাদের অভ্যাস, তারা কি কোনও কথা বললে শুনবে?
🦄মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তাঁর ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি যোগী। তাঁর অভিযোগ, 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ওঁরা দাঙ্গাবাজদের সমস্তরকম স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। সরকার চুপ করে রয়েছে। এই ধরনের অনাচার বন্ধ হওয়া দরকার।'
ꦗপ্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক এলাকা হিংসার আগুনে পুড়লেও আজ (মঙ্গলবার - ১৫ এপ্রিল, ২০২৫) জেলার পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। রাজ্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় খুব ধীর ধীরে হলেও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে। আজ ধুলিয়ানে বন্ধ দোকাপাটও একে একে খুলেছে। ক্রেতারাও এসেছেন।
🎉কিন্তু, এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি মোটেও। এখনও উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বহু মানুষ ঘরছাড়া। তাঁরা পাশের জেলায় মালদায় পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। শান্তি কায়েম রাখতে এলাকার সাধারণ বাসিন্দা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে প্রশাসন।
꧅তবে, এরই মধ্যে একই ইস্যুতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে তুমুল অশান্তি ছড়ায় সোমবার। প্রতিবাদের নামে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়। পরে পুলিশ অ্য়াকশনে নামলেও তার আগেই পুলিশের একাধিক মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট করা হয়।