বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন করানো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল - বিএনপি-র ব▨িবাদ আরও প্রকট হল। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস তথা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানে তাঁরা যে একেবারেই খুশি নন, কোনওরকম রাখঢাক না করেই সেকথা সর্বসমক্ষে বলে দিলেন বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, মূলত এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই আজ (বুধবার - ১৬ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুরে ঢাকার সরকারি অতিথি ভবন 'যমুনা'-এ প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে বিএনপি📖-র সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনুস। বিএনপি-র প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল।
বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ꧃্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বর মধ্যে 🉐নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।’
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলি তাঁকে জ🐻ানিয়েছি। যার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আমরা বলেছি, বর্তমানে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে আমরা বিশ্বাস করি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।'
বিএনপি-র বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। তারা বলছে, তাদের🐈 সংস্কারের কাজে কোনও আপত্তি নেই। এবং তাতে তারা রাজনৈতিক দল হিসাবে সমস্ত সহযোগিতা করবে। কিন্তু, সংস্কারের নাম করে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে চলবে না। সেটা ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। কিন্তু, ইউনুস এখনও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি। আর, তাতেই বারবার বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্যে।
এই প্রসঙ্গে এদিন মির্জা ফখরুল বলেন, 'একই সঙ্গে চলমান যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, তাতে আমরা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। কয়েকদিন আগে সংস্কারে আমাদের যে মতামতগুলি রয়েছে, তা আমরা দিয়েছি এবং আগামিকাল আমাদের সঙ্গেඣ (ঐকমত্য কমিশনের) বৈঠক আছ🅷ে।'
বিএনপি-র যুক্তি হল, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের সংস্কারের কাজ জনতার দ্বারা নির্বাচিত কোনও সরকা🃏রেরই করার কথা। তাই যে সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করেছে, তা আগামী দিন🐼ে নির্বাচিত সরকার, তা সে যে রাজনৈতিক দলই গঠন করুক না কেন, তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সুতরাং, স💎ংস্কারের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মধ্য়ে কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পা💝চ্ছেন না মির্জা ফখরুলরা। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার ও নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি সংস্কারকে প্রাধান্য দিয়ে যতটা সম্ভব নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ারই লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে।