সে পৃথিবী নিমজ্জিত। বাইরে থেকে দেখা যায় না। ২০২৫ সাল পড়তে না পড়তেই বড় আবিষ্কারটি করেই ফেললেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহের আবরণের গভীরে পৃথিবীর পুরনো ভূত্বকের টুকরো খুঁজে পেলেন তাঁরা। পৃথ෴িবীর অভ্যন্তর যাওয়ার জন্য একটি নতুন উপায় ব্যবহার করে এই আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে টেকটোনিক প্লেটের এই হারিয়ে যাওয়া টুকরোগুলি মহাদেশগুলোর সমুদ্রের নীচে রয়ে🅠ছে।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, বিজ্ঞানীদের এই আবিস্কারগুলিওর মধ্যে কিছু এমন জায়গা রয়েছে, কোনও পরিচিত টেকটোনিক কার্যকলাপই ঘটেনি, ঠিক পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের মতো জায়গা এগুলো। এটি দেখেই বিজ্ঞানীরা অবাক। কীভ🧔াবে এমন জায়গায় 'নিমজ্জিত পৃথিবী' থাকতে পারে, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: (ওয়ꦰানপ্লাস 13 সিরিজ ভার⛄তে লঞ্চ: দারুণ ফিচার ও আকর্ষণীয় অফার)
কীভাবে এত বড় আবিষ্কারটি করলেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর 🎉অভ্যন্তর অধ্যয়নের জন্য বিশেষ মডেল ব্যবহার করেছেন, ভূমিকম্পের তরঙ্গ ব্যবহার করে এর গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তাঁরা। সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখের গবেষক থমাস শুটেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এখনও সঠিꦅকভাবে এই নিমজ্জিত পৃথিবীর রহস্য জানেন না তাঁরা।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে আমরা যা জানি তার বেশিরভাগই আসে বিশ্বের বিভিন্ন ভূমিকম্পের তথ্য অধ্যয়ন করার মাধ্যমে। কিন্তু এই নতুন গবেষণায়,꧅ বিজ্ঞানীরা ফুল-ওয়েভফর্ম ইনভার্সন নামে একটি বিশেষ কৌশল ব্যবহার করেছেন। এই পদ্ধতিটি কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে ভূমিকম্পের সমস্ত তথ্য একত্রিত করে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে।
এই পদ্ধতিতে অনেক কম্পিউটার শক্তি প্রয়োজন, তাই ꦏবিজ্ঞানীরা লুগানোর সুইস ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার সেন্টারে পিজ ডাইন্ট সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। আর তা থেকেই পাওয়া ফলাফলগুলি অনুযায়ী, এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেগুলি বড় মহাসাগরের নীচে এবং মহাদেশের অভ্যন্তরে নিমজ্জিত টেকটোনিক প্লেটের মতো দেখায়, অথচ এগুলো এমনই জায়গা যেখানে অতীতꦚ প্লেটের নড়াচড়ার কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: (অ্যামাজন গ্রে♉ট রিপাবলিক ডে সেল: স্মার্টফোনে বিশাল ছাড়ের ঘোষণা)
তবে, এই অদ্ভুত পৃথিবী সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁর⛦া মনে করছেন যে আজ থেকে ৪ বিলিয়ন বছর আগে যখন প্রথম পৃথিবীর আবরণ 🍰গঠিত হয়েছিল, সেই সময়কার ভূত্বকের টুকরো হতে পারে এগুলো। আবার এটাও হতে পারে যে এগুলো এমনই একটি ঘন উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে যা গত কয়েকশ মিলিয়ন বছরে ম্যান্টলের ভিতরেই থেকে গিয়েছিল। তবে, এই অনুমানকেই চূড়ান্ত হিসাবে ধরে নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁর বলেছেন যে এগুলি কেবল সম্ভাব্য ধারণা, এবং এই মুহূর্তে, ইটিএইচ জুরিখের মতে, এগুলো এখনকার সবচেয়ে বড় রহস্য।